বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মুখোশে অত্যাচারী
স্বৈরাচারী সরকারের উথান। কোথায় পৃথিবীর মানবতাবাদী সংগঠন?
হারুনর রশিদ কায়সার’
বাংলাদেশের
অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী''র নায়েবে আমীর দেলোয়ার হসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় শত নাটকের পর পূর্ব নির্ধারিত ফাঁসির রায়
ঘোষণা করলো ''আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল''।
১৯৭১
সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল
"বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী''র নায়েবে আমীর দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় শত নাটকের পর পূর্ব নির্ধারিত ফাঁসির রায় ঘোষণা করলো বাংলাদেশ সরকার
গঠিত আদালত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল''। বিশিষ্ট জনদের মতে রাজনৈতিক
হিংসা প্রণোদিত হয়ে ও বিরোধী
জোটকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেবার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এ রায় এবং অনেক আগে থেকে তৈরি রায়ই
আদালতে শুধু পাঠ করে শুনানো হয় ।
এর আগে জামায়াতের আরেক নেতা আব্দুল কাদের কাদের মোল্লাকে
একই নাটকের অংশ হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া
হয় । আবার সরকার পরিবর্তনে তার মুক্তি পাবার আশঙ্কায় তাকে
ফাঁসিই দেবার উদ্দেশে সরকার আপিল করার আরেক নাটক করে । কিন্তু
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের আপিল করার সুযোগ সাংবিধানিক ভাবে না থাকায় প্রথমে বিপাকে পড়ে ।
দেশের মানুষ ধারনা করে নিয়েছিল সরকার তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে
সংসদে আপিল করার সুযোগ এনে আইন পাশ করে নিতে পারে । অবশেষে
সরকার তাই করে দেখালো । আপিল করার সুযোগ এনে সরকার দলীয় লোকদের একক
উপস্থিতিতে সংসদে আইন পাশ করে নেয়। এর
মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিকে পঙ্গু করার পথটি সুগম হল ।
জামায়াত
ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ উপর
থেকে বেছে বেছে শীর্ষ ৭ জন নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে গত ৪ বছর ধরে আটক করে রাখে সরকার । তাদের সবাইকে ফাঁসির মঞ্চে দাড় করানোর জন্য
সকল ধরনের পথ তৈরি করছে । এত কিছু হবার পরও জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে দাবী করা
হয়েছিল যে এ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য এবং বিদেশী কূটনীতিকদের ও
আইনজীবীদের উপস্থিতিতে
এ ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করার । কিন্তু এ দাবী গ্রহনের
পরবর্তীতে বিরোধী জোটকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা বিনষ্ট হবার আশঙ্কায় দলীয়
আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠন করে আন্তর্জাতিক মানহীন আদালত ''আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । আপনারাই বলুন এভাবে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কি
আন্তর্জাতিক মানের হতে পারে ? এটা কি বিরোধী জোট দমনের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু কি বলা
যায়?
দেশের সকল মিডিয়া গুলোকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে । সরকার বিরোধী নিউজ,
প্রতিবেদন বা টক-শো প্রকাশ করলেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে রুল জারি
করে এবং সাংবাদিকদের উপর চলে নারকীয় নির্যাতন । যেমন দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক
টেলিভিশন, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ ইত্তাদি। শুধুমাত্র তাদের পক্ষপাতদৃষ্ট মিডিয়া গুলোই
স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করে । তারা সরকারি দালাল হিসেবে জনগনের কাছে বিরোধী
জোটের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট জনভিতিকর
সংবাদ প্রচার করে । বিরোধী জোটের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
গুলোকেও বন্ধ করে দেবার জন্য সরকার উদগ্রীব । যেমন ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা
ইত্যাদি ।
এত ষড়যন্ত্রের পাশপাশি সরকার নতুন করে আরেক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তান সরকারের সাহায্যদাতা সংগঠন হিসেবে
অভিযুক্ত করে ‘’জামায়াত ইসলাম’’ কে নিষিদ্ধ করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । অথচ
এ অভিযোগের কোণ সত্যতা নেই । বরং এ
সংগঠনটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্যে ব্রত ছিল। সরকার একটি ভূল বিষয়টিকে
সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রচণ্ড উদগ্রীব ।
যদি তাদের কথাগুলোই সত্য হয় তাহলে ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করেন না কেন? এখানেই সরকারের যুক্তির পরাজয় । অবশ্য এ
ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি হতে পারে যে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ
ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ীই করা হচ্ছে । এখনে আমার ২ টি প্রশ্ন
(১) দলীয় আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল যতই আন্তর্জাতিক
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ী হোক না কেন বাস্তবে তা কি আন্তর্জাতিক মানের হয় ?
(২) যে নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলছে তা কি আসলেই আন্তর্জাতিক মানের ?
এ ক্ষেত্রে সরকার বহি রাষ্ট্রে বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করছে ।
এদিকে জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও
কর্মী বাহিনীর উপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন । তাদের
রাজনৈতিক অধিকারটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে । তারা প্রতিবাদ করার জন্য শান্তিপূর্ণ মিছিলের মত
কর্মসূচীও করতে পারছেনা । মিছিল বা কোন
প্রতিবাদ কর্মসূচী নিলেই জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের উপর চালায় নির্বিচারে গুলি ও অকথ্য
নির্যাতন। অথচ এ সংগঠনটি সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । দেশের মানুষ আজ পর্যন্ত তা
দেখেনি। কিন্তু তাদেরকে দেখা মাত্র
অস্র মাথায় তাক করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারের পুলিশ বাহিনী ও দলীয়
ক্যাডারগণ । মনে হয় যেন বাংলাদেশের মানুষের জীবন আকাশে উড়ন্ত পাখির মত। শিকারির ধনুক
লাগা মাত্র মাটিতে পড়ে ছটপট করে মারা যাওয়া
পাখি। যেমনটি তখন তার কিছুই বলার থাকেনা । কারো কোনরূপ জবাবদিহিতা নেই। । এরপর চলে
খাবারের আয়োজন। মানবতা কতটুকু ধূসরিত হলে তা হতে পারে ? বিশ্ব বিবেক আপনারাই
চিন্তা করেন ।
মুখের ঠোট
চেপে তারা যেন বলতে চায় তোকে আমি যেমন ইচ্ছে সেভাবে মারব। তুই কোন প্রতিবাদ করবিনা
। বলুন তা কি সম্ভব ? এ জায়গায় আপনারা থাকলে কি করতেন ? নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রান
বাচাতে যা করা দরকার তাই করতেন। নাকি বলবেন ঠিক আছে আপনি আমার প্রভু আপনি যখন আমার
প্রাণ চাচ্ছেন তাহলে নিয়ে নিন আমার জীবন । আপনারা ঠিক যা করতেন ঠিক ওই কাজটি করতে
গিয়ে জঙ্গি ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রমের অযুহাতে প্রতিরোধের কথা বলে তারা
( বিশেষ করে তাদের দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ) সরসরি ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্র নিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে ।তাদের
শুধু অপরাধ মানুষের কাছে জননন্দিত সংগঠন হিসেবে পরিচিত পাওয়া। আজ মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীন । নিপীড়িত মানুষের জীবন আজ ধুকরে মরছে । নিজ বাসায়ও নিরাপদ ভাবে থাকতে পারছেনা । কখন
পুলিশ এসে গুলি করবে। কখন সরকার দলীয় লোকদের ধারালো অস্রে নিজের প্রান যায় সেই আশঙ্কায় প্রতিটি রাত
অতিবাহিত করছে । এ যেন গনতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী সরকার। আজ আমি এ প্রতিবেদন লিখছি । এ জন্য আমার জীবনের
নিরাপত্তা দিবে কে জানিনা । তবুও লিখতে বসলাম । পৃথিবীর মানবতাবাদি সংগঠন গুলোর
কাছে দেশের মানুষের নিরাপত্তা চাই সমাপ্ত
১৯৭১
সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল
"বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী''র নায়েবে আমীর দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় শত নাটকের পর পূর্ব নির্ধারিত ফাঁসির রায় ঘোষণা করলো বাংলাদেশ সরকার
গঠিত আদালত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল''। বিশিষ্ট জনদের মতে রাজনৈতিক
হিংসা প্রণোদিত হয়ে ও বিরোধী
জোটকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেবার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এ রায় এবং অনেক আগে থেকে তৈরি রায়ই
আদালতে শুধু পাঠ করে শুনানো হয় ।
এর আগে জামায়াতের আরেক নেতা আব্দুল কাদের কাদের মোল্লাকে
একই নাটকের অংশ হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া
হয় । আবার সরকার পরিবর্তনে তার মুক্তি পাবার আশঙ্কায় তাকে
ফাঁসিই দেবার উদ্দেশে সরকার আপিল করার আরেক নাটক করে । কিন্তু
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের আপিল করার সুযোগ সাংবিধানিক ভাবে না থাকায় প্রথমে বিপাকে পড়ে ।
দেশের মানুষ ধারনা করে নিয়েছিল সরকার তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে
সংসদে আপিল করার সুযোগ এনে আইন পাশ করে নিতে পারে । অবশেষে
সরকার তাই করে দেখালো । আপিল করার সুযোগ এনে সরকার দলীয় লোকদের একক
উপস্থিতিতে সংসদে আইন পাশ করে নেয়। এর
মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিকে পঙ্গু করার পথটি সুগম হল ।
জামায়াত
ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ উপর
থেকে বেছে বেছে শীর্ষ ৭ জন নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে গত ৪ বছর ধরে আটক করে রাখে সরকার । তাদের সবাইকে ফাঁসির মঞ্চে দাড় করানোর জন্য
সকল ধরনের পথ তৈরি করছে । এত কিছু হবার পরও জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে দাবী করা
হয়েছিল যে এ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য এবং বিদেশী কূটনীতিকদের ও
আইনজীবীদের উপস্থিতিতে
এ ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করার । কিন্তু এ দাবী গ্রহনের
পরবর্তীতে বিরোধী জোটকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা বিনষ্ট হবার আশঙ্কায় দলীয়
আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠন করে আন্তর্জাতিক মানহীন আদালত ''আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । আপনারাই বলুন এভাবে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কি
আন্তর্জাতিক মানের হতে পারে ? এটা কি বিরোধী জোট দমনের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু কি বলা
যায়?
দেশের সকল মিডিয়া গুলোকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে । সরকার বিরোধী নিউজ,
প্রতিবেদন বা টক-শো প্রকাশ করলেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে রুল জারি
করে এবং সাংবাদিকদের উপর চলে নারকীয় নির্যাতন । যেমন দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক
টেলিভিশন, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ ইত্তাদি। শুধুমাত্র তাদের পক্ষপাতদৃষ্ট মিডিয়া গুলোই
স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করে । তারা সরকারি দালাল হিসেবে জনগনের কাছে বিরোধী
জোটের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট জনভিতিকর
সংবাদ প্রচার করে । বিরোধী জোটের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
গুলোকেও বন্ধ করে দেবার জন্য সরকার উদগ্রীব । যেমন ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা
ইত্যাদি ।
এত ষড়যন্ত্রের পাশপাশি সরকার নতুন করে আরেক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তান সরকারের সাহায্যদাতা সংগঠন হিসেবে
অভিযুক্ত করে ‘’জামায়াত ইসলাম’’ কে নিষিদ্ধ করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । অথচ
এ অভিযোগের কোণ সত্যতা নেই । বরং এ
সংগঠনটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্যে ব্রত ছিল। সরকার একটি ভূল বিষয়টিকে
সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রচণ্ড উদগ্রীব ।
যদি তাদের কথাগুলোই সত্য হয় তাহলে ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করেন না কেন? এখানেই সরকারের যুক্তির পরাজয় । অবশ্য এ
ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি হতে পারে যে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ
ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ীই করা হচ্ছে । এখনে আমার ২ টি প্রশ্ন
(১) দলীয় আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল যতই আন্তর্জাতিক
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ী হোক না কেন বাস্তবে তা কি আন্তর্জাতিক মানের হয় ?
(২) যে নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলছে তা কি আসলেই আন্তর্জাতিক মানের ?
এ ক্ষেত্রে সরকার বহি রাষ্ট্রে বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করছে ।
এদিকে জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও
কর্মী বাহিনীর উপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন । তাদের
রাজনৈতিক অধিকারটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে । তারা প্রতিবাদ করার জন্য শান্তিপূর্ণ মিছিলের মত
কর্মসূচীও করতে পারছেনা । মিছিল বা কোন
প্রতিবাদ কর্মসূচী নিলেই জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের উপর চালায় নির্বিচারে গুলি ও অকথ্য
নির্যাতন। অথচ এ সংগঠনটি সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । দেশের মানুষ আজ পর্যন্ত তা
দেখেনি। কিন্তু তাদেরকে দেখা মাত্র
অস্র মাথায় তাক করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারের পুলিশ বাহিনী ও দলীয়
ক্যাডারগণ । মনে হয় যেন বাংলাদেশের মানুষের জীবন আকাশে উড়ন্ত পাখির মত। শিকারির ধনুক
লাগা মাত্র মাটিতে পড়ে ছটপট করে মারা যাওয়া
পাখি। যেমনটি তখন তার কিছুই বলার থাকেনা । কারো কোনরূপ জবাবদিহিতা নেই। । এরপর চলে
খাবারের আয়োজন। মানবতা কতটুকু ধূসরিত হলে তা হতে পারে ? বিশ্ব বিবেক আপনারাই
চিন্তা করেন ।
মুখের ঠোট
চেপে তারা যেন বলতে চায় তোকে আমি যেমন ইচ্ছে সেভাবে মারব। তুই কোন প্রতিবাদ করবিনা
। বলুন তা কি সম্ভব ? এ জায়গায় আপনারা থাকলে কি করতেন ? নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রান
বাচাতে যা করা দরকার তাই করতেন। নাকি বলবেন ঠিক আছে আপনি আমার প্রভু আপনি যখন আমার
প্রাণ চাচ্ছেন তাহলে নিয়ে নিন আমার জীবন । আপনারা ঠিক যা করতেন ঠিক ওই কাজটি করতে
গিয়ে জঙ্গি ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রমের অযুহাতে প্রতিরোধের কথা বলে তারা
( বিশেষ করে তাদের দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ) সরসরি ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্র নিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে ।তাদের
শুধু অপরাধ মানুষের কাছে জননন্দিত সংগঠন হিসেবে পরিচিত পাওয়া। আজ মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীন । নিপীড়িত মানুষের জীবন আজ ধুকরে মরছে । নিজ বাসায়ও নিরাপদ ভাবে থাকতে পারছেনা । কখন
পুলিশ এসে গুলি করবে। কখন সরকার দলীয় লোকদের ধারালো অস্রে নিজের প্রান যায় সেই আশঙ্কায় প্রতিটি রাত
অতিবাহিত করছে । এ যেন গনতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী সরকার। আজ আমি এ প্রতিবেদন লিখছি । এ জন্য আমার জীবনের
নিরাপত্তা দিবে কে জানিনা । তবুও লিখতে বসলাম । পৃথিবীর মানবতাবাদি সংগঠন গুলোর
কাছে দেশের মানুষের নিরাপত্তা চাই সমাপ্ত

Any feedback, questions or ideas are always welcome. In case you are posting Code ,then first escape it using Postify and then paste it in the comments
0 comments: