সবার আগে এই ইউটিউব লিংক এর ভিডিও ক্লিপ টি দেখুন :http://www.youtube.com/ watch?v=vT7uofgCDzw
যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল শেখ হাসিনার সব গোমর ফাক করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা আবদুল জলিল ও মিন্টুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ডের আলটিমেটামের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের পরিকল্পনা ও টাকার বিনিময়ে বিএনপি’র ৭০ এমপিকে দিয়ে দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘটানোসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য। এ ছাড়াও তারা অকপটে স্বীকার করেছেন, পার্টির ফান্ডের নামে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজি ও শেখ হাসিনা কর্তৃক অনৈতিকভাবে ফান্ডের টাকা আত্মসাতের কথা।
আবদুল জলিল বলেছেন, দলের নেতৃস্খানীয়রা শেখ হাসিনার কাছে আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চাইলেও তাদের না জানানোর অস্বচ্ছ নীতির কথা। পার্টি ফান্ডের নামে ওঠানো টাকার পুরোটাই তদারকি করতেন শেখ হাসিনা। আবদুল জলিল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আকস্মিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়ে তাকে দলের ভবিষ্যৎ উত্তসূরি বানানোর মাধ্যমে পরিবারতন্ত্র কায়েমের পরিকল্পনা করেছিলেন। তার মতে, জয়কে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে উচ্চাভিলাষী করে তোলেন হাসিনা নিজেই। জয় আমেরিকায় একটি কম্পিউটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দেশে এনে তাকে রাজনীতিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জয়ের এই রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়টিকে ভালোভাবে যে নেননি তা ফুটে উঠেছে জলিলের বক্তব্য থেকে। তা ছাড়াও জলিল বলতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনার সহযোগিতা পেয়েই জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার থেকে আমেরিকায় অনেক বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।
তা ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীর ভূমিকা নিয়েও দলের নেতাদের মাঝে যে চাপা ক্ষোভ ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে জলিলের বক্তব্যে। বিশেষ করে বিগত ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ড ইস্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা শুধু সাবের হোসেন চৌধুরী ও প্রশিকার কাজী ফারুক আহমেদের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে তা নিয়েও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর ফলে ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই নিস্ত্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। মূলত সে কারণেই এই ট্রাম্পকার্ড ব্যর্থ হয়েছিল বলে জলিলের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।
আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক এফবিসিআই’র সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুও তা স্বীকার করেন। যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শেখ হাসিনা নিয়মিত চাঁদা নিতেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক এফবিসিসিআই’র সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এপেক্স গ্রুপের কর্ণধার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুর এলাহী, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপ, লোটাস কামাল প্রমুখ। ব্যবসায়ীরা সরাসরি শেখ হাসিনার হাতে চাঁদার টাকা দিতেন। এর কারণ হিসেবে জলিল বলেন, তারা নেত্রীর কাছে পরিচিত থাকতে চান এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেদের উপস্খাপন করতে চাইতেন। যাতে ভবিষ্যতে যদি দল ক্ষমতায় আসে তাহলে যেকোনো সুযোগ-সুবিধা নেত্রীই দিতে পারেন। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনের আগে কেউ ১ কোটি, কেউ ২ কোটি এবং স্বাভাবিক সময় ২০-২৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতেন। আবদুল জলিল আরো বলেছেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা শেখ হাসিনা কিভাবে খরচ করতেন তা দলের অন্য কেউ জানতেন না। শেখ হাসিনার বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে জলিল বলেছেন, মানুষ প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে পারে। ৩০ এপ্রিলকে সামনে রেখে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর কৌশলও নেয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে বিএনপি’র বিদ্রোহী এমপি আবু হেনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শেখ হাসিনা।
ট্রাম্পকার্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু গোয়েন্দাদের বলেছেন, পুরো বিষয়টির পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার। মুখপাত্র ছিলেন আবদুল জলিল। আবু হেনা তৎকালীন সরকারি দল থেকে ৩৬ জন এমপি এবং এলডিপি নেতা মাহি বি. চৌধুরী ২৫-৩০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মিন্টু বলেছেন, ৭০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার জন্য প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। এজন্য আবু হেনা তার কাছেও ১ কোটি টাকা চাঁদা চাইলে তিনি টাকা দিতে রাজি হন এবং আবদুল জলিলের সাথে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে জলিল মিন্টুকে আবু হেনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও সরকার পতনের আন্দোলনে একযোগে কাজ করার কথা বলেন। মিন্টু আরো বলেন, এই নীলনকশা বাস্তবায়নে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সালমান এফ রহমান, সিকদার মেডিক্যালের জেড এইচ সিকদার টাকা দেবেন বলে তাকে জানানো হয়। বিএনপি থেকে চলে আসা এই এমপিদের নিয়ে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের পরিকল্পনা ছিল বলে আবু হেনা তাকে জানান।
এ ছাড়া ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য এক নৈরাজ্যকর পরিস্খিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিকা ১০ লাখ লোক সমাগম করবে বলেও আবু হেনা তাকে জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানান, এমপি ভাগিয়ে আনার পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেছেন শেখ হাসিনা নিজে। টাকা বন্টন নিয়ে তিনি মিন্টুর সাথে বৈঠক করতেন বলেও জানান জলিল। জলিল বলেন, এ ব্যাপারে আমাকেও কিছু জানানো হয়নি। আর প্রশিকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এদিকে ওয়ার্ড কমিশনার ও গুলশান আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল উদ্দিন তার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালক সায়েম সোবাহান আনভীর ও তিনি বিগত ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে আবদুল জলিলকে চাঁদা দিয়েছেন। তারা জলিলের বাসায় গিয়ে এই চাঁদার টাকা দিয়ে আসতেন। আবদুল জলিল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালকের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে তার কাছ থেকে টাকার চেক গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও প্রতি মাসে চাঁদা নেয়ার কথাটি অস্বীকার করেন।
...................
হাসেনা আপনি লাইনে আসবেন না? আপনার বাপও চলে আসবে। গত ৪ বছরে পাপে কানায় কানায় পূর্ন হয়েছে। সকল অপকর্মের ফিরিস্তিও তৈরী আছে।
ইউটিউব লিংক:http://www.youtube.com/ watch?v=vT7uofgCDzw
— with Ayub Ali.যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল শেখ হাসিনার সব গোমর ফাক করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা আবদুল জলিল ও মিন্টুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ডের আলটিমেটামের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের পরিকল্পনা ও টাকার বিনিময়ে বিএনপি’র ৭০ এমপিকে দিয়ে দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘটানোসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য। এ ছাড়াও তারা অকপটে স্বীকার করেছেন, পার্টির ফান্ডের নামে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজি ও শেখ হাসিনা কর্তৃক অনৈতিকভাবে ফান্ডের টাকা আত্মসাতের কথা।
আবদুল জলিল বলেছেন, দলের নেতৃস্খানীয়রা শেখ হাসিনার কাছে আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চাইলেও তাদের না জানানোর অস্বচ্ছ নীতির কথা। পার্টি ফান্ডের নামে ওঠানো টাকার পুরোটাই তদারকি করতেন শেখ হাসিনা। আবদুল জলিল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আকস্মিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়ে তাকে দলের ভবিষ্যৎ উত্তসূরি বানানোর মাধ্যমে পরিবারতন্ত্র কায়েমের পরিকল্পনা করেছিলেন। তার মতে, জয়কে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে উচ্চাভিলাষী করে তোলেন হাসিনা নিজেই। জয় আমেরিকায় একটি কম্পিউটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দেশে এনে তাকে রাজনীতিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জয়ের এই রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়টিকে ভালোভাবে যে নেননি তা ফুটে উঠেছে জলিলের বক্তব্য থেকে। তা ছাড়াও জলিল বলতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনার সহযোগিতা পেয়েই জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার থেকে আমেরিকায় অনেক বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।
তা ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীর ভূমিকা নিয়েও দলের নেতাদের মাঝে যে চাপা ক্ষোভ ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে জলিলের বক্তব্যে। বিশেষ করে বিগত ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ড ইস্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা শুধু সাবের হোসেন চৌধুরী ও প্রশিকার কাজী ফারুক আহমেদের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে তা নিয়েও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর ফলে ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই নিস্ত্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। মূলত সে কারণেই এই ট্রাম্পকার্ড ব্যর্থ হয়েছিল বলে জলিলের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।
আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক এফবিসিআই’র সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুও তা স্বীকার করেন। যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শেখ হাসিনা নিয়মিত চাঁদা নিতেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক এফবিসিসিআই’র সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এপেক্স গ্রুপের কর্ণধার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুর এলাহী, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপ, লোটাস কামাল প্রমুখ। ব্যবসায়ীরা সরাসরি শেখ হাসিনার হাতে চাঁদার টাকা দিতেন। এর কারণ হিসেবে জলিল বলেন, তারা নেত্রীর কাছে পরিচিত থাকতে চান এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেদের উপস্খাপন করতে চাইতেন। যাতে ভবিষ্যতে যদি দল ক্ষমতায় আসে তাহলে যেকোনো সুযোগ-সুবিধা নেত্রীই দিতে পারেন। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনের আগে কেউ ১ কোটি, কেউ ২ কোটি এবং স্বাভাবিক সময় ২০-২৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতেন। আবদুল জলিল আরো বলেছেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা শেখ হাসিনা কিভাবে খরচ করতেন তা দলের অন্য কেউ জানতেন না। শেখ হাসিনার বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে জলিল বলেছেন, মানুষ প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে পারে। ৩০ এপ্রিলকে সামনে রেখে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর কৌশলও নেয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে বিএনপি’র বিদ্রোহী এমপি আবু হেনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শেখ হাসিনা।
ট্রাম্পকার্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু গোয়েন্দাদের বলেছেন, পুরো বিষয়টির পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার। মুখপাত্র ছিলেন আবদুল জলিল। আবু হেনা তৎকালীন সরকারি দল থেকে ৩৬ জন এমপি এবং এলডিপি নেতা মাহি বি. চৌধুরী ২৫-৩০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মিন্টু বলেছেন, ৭০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার জন্য প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। এজন্য আবু হেনা তার কাছেও ১ কোটি টাকা চাঁদা চাইলে তিনি টাকা দিতে রাজি হন এবং আবদুল জলিলের সাথে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে জলিল মিন্টুকে আবু হেনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও সরকার পতনের আন্দোলনে একযোগে কাজ করার কথা বলেন। মিন্টু আরো বলেন, এই নীলনকশা বাস্তবায়নে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সালমান এফ রহমান, সিকদার মেডিক্যালের জেড এইচ সিকদার টাকা দেবেন বলে তাকে জানানো হয়। বিএনপি থেকে চলে আসা এই এমপিদের নিয়ে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের পরিকল্পনা ছিল বলে আবু হেনা তাকে জানান।
এ ছাড়া ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য এক নৈরাজ্যকর পরিস্খিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিকা ১০ লাখ লোক সমাগম করবে বলেও আবু হেনা তাকে জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানান, এমপি ভাগিয়ে আনার পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেছেন শেখ হাসিনা নিজে। টাকা বন্টন নিয়ে তিনি মিন্টুর সাথে বৈঠক করতেন বলেও জানান জলিল। জলিল বলেন, এ ব্যাপারে আমাকেও কিছু জানানো হয়নি। আর প্রশিকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এদিকে ওয়ার্ড কমিশনার ও গুলশান আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল উদ্দিন তার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালক সায়েম সোবাহান আনভীর ও তিনি বিগত ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে আবদুল জলিলকে চাঁদা দিয়েছেন। তারা জলিলের বাসায় গিয়ে এই চাঁদার টাকা দিয়ে আসতেন। আবদুল জলিল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালকের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে তার কাছ থেকে টাকার চেক গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও প্রতি মাসে চাঁদা নেয়ার কথাটি অস্বীকার করেন।
...................
হাসেনা আপনি লাইনে আসবেন না? আপনার বাপও চলে আসবে। গত ৪ বছরে পাপে কানায় কানায় পূর্ন হয়েছে। সকল অপকর্মের ফিরিস্তিও তৈরী আছে।
ইউটিউব লিংক:http://www.youtube.com/

Any feedback, questions or ideas are always welcome. In case you are posting Code ,then first escape it using Postify and then paste it in the comments
0 comments: