- Archives for February 2013
Sunday, February 24, 2013
Saturday, February 16, 2013
‘হারুনর রশিদ কায়সার’ এর বিশেষ কলাম
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মুখোশে অত্যাচারী
স্বৈরাচারী সরকারের উথান। কোথায় পৃথিবীর মানবতাবাদী সংগঠন?
হারুনর রশিদ কায়সার’
বাংলাদেশের
অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী''র নায়েবে আমীর দেলোয়ার হসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় শত নাটকের পর পূর্ব নির্ধারিত ফাঁসির রায়
ঘোষণা করলো ''আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল''।
১৯৭১
সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল
"বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী''র নায়েবে আমীর দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় শত নাটকের পর পূর্ব নির্ধারিত ফাঁসির রায় ঘোষণা করলো বাংলাদেশ সরকার
গঠিত আদালত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল''। বিশিষ্ট জনদের মতে রাজনৈতিক
হিংসা প্রণোদিত হয়ে ও বিরোধী
জোটকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেবার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এ রায় এবং অনেক আগে থেকে তৈরি রায়ই
আদালতে শুধু পাঠ করে শুনানো হয় ।
এর আগে জামায়াতের আরেক নেতা আব্দুল কাদের কাদের মোল্লাকে
একই নাটকের অংশ হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া
হয় । আবার সরকার পরিবর্তনে তার মুক্তি পাবার আশঙ্কায় তাকে
ফাঁসিই দেবার উদ্দেশে সরকার আপিল করার আরেক নাটক করে । কিন্তু
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের আপিল করার সুযোগ সাংবিধানিক ভাবে না থাকায় প্রথমে বিপাকে পড়ে ।
দেশের মানুষ ধারনা করে নিয়েছিল সরকার তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে
সংসদে আপিল করার সুযোগ এনে আইন পাশ করে নিতে পারে । অবশেষে
সরকার তাই করে দেখালো । আপিল করার সুযোগ এনে সরকার দলীয় লোকদের একক
উপস্থিতিতে সংসদে আইন পাশ করে নেয়। এর
মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিকে পঙ্গু করার পথটি সুগম হল ।
জামায়াত
ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ উপর
থেকে বেছে বেছে শীর্ষ ৭ জন নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে গত ৪ বছর ধরে আটক করে রাখে সরকার । তাদের সবাইকে ফাঁসির মঞ্চে দাড় করানোর জন্য
সকল ধরনের পথ তৈরি করছে । এত কিছু হবার পরও জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে দাবী করা
হয়েছিল যে এ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য এবং বিদেশী কূটনীতিকদের ও
আইনজীবীদের উপস্থিতিতে
এ ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করার । কিন্তু এ দাবী গ্রহনের
পরবর্তীতে বিরোধী জোটকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা বিনষ্ট হবার আশঙ্কায় দলীয়
আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠন করে আন্তর্জাতিক মানহীন আদালত ''আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । আপনারাই বলুন এভাবে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কি
আন্তর্জাতিক মানের হতে পারে ? এটা কি বিরোধী জোট দমনের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু কি বলা
যায়?
দেশের সকল মিডিয়া গুলোকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে । সরকার বিরোধী নিউজ,
প্রতিবেদন বা টক-শো প্রকাশ করলেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে রুল জারি
করে এবং সাংবাদিকদের উপর চলে নারকীয় নির্যাতন । যেমন দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক
টেলিভিশন, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ ইত্তাদি। শুধুমাত্র তাদের পক্ষপাতদৃষ্ট মিডিয়া গুলোই
স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করে । তারা সরকারি দালাল হিসেবে জনগনের কাছে বিরোধী
জোটের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট জনভিতিকর
সংবাদ প্রচার করে । বিরোধী জোটের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
গুলোকেও বন্ধ করে দেবার জন্য সরকার উদগ্রীব । যেমন ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা
ইত্যাদি ।
এত ষড়যন্ত্রের পাশপাশি সরকার নতুন করে আরেক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তান সরকারের সাহায্যদাতা সংগঠন হিসেবে
অভিযুক্ত করে ‘’জামায়াত ইসলাম’’ কে নিষিদ্ধ করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । অথচ
এ অভিযোগের কোণ সত্যতা নেই । বরং এ
সংগঠনটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্যে ব্রত ছিল। সরকার একটি ভূল বিষয়টিকে
সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রচণ্ড উদগ্রীব ।
যদি তাদের কথাগুলোই সত্য হয় তাহলে ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করেন না কেন? এখানেই সরকারের যুক্তির পরাজয় । অবশ্য এ
ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি হতে পারে যে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ
ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ীই করা হচ্ছে । এখনে আমার ২ টি প্রশ্ন
(১) দলীয় আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল যতই আন্তর্জাতিক
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ী হোক না কেন বাস্তবে তা কি আন্তর্জাতিক মানের হয় ?
(২) যে নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলছে তা কি আসলেই আন্তর্জাতিক মানের ?
এ ক্ষেত্রে সরকার বহি রাষ্ট্রে বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করছে ।
এদিকে জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও
কর্মী বাহিনীর উপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন । তাদের
রাজনৈতিক অধিকারটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে । তারা প্রতিবাদ করার জন্য শান্তিপূর্ণ মিছিলের মত
কর্মসূচীও করতে পারছেনা । মিছিল বা কোন
প্রতিবাদ কর্মসূচী নিলেই জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের উপর চালায় নির্বিচারে গুলি ও অকথ্য
নির্যাতন। অথচ এ সংগঠনটি সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । দেশের মানুষ আজ পর্যন্ত তা
দেখেনি। কিন্তু তাদেরকে দেখা মাত্র
অস্র মাথায় তাক করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারের পুলিশ বাহিনী ও দলীয়
ক্যাডারগণ । মনে হয় যেন বাংলাদেশের মানুষের জীবন আকাশে উড়ন্ত পাখির মত। শিকারির ধনুক
লাগা মাত্র মাটিতে পড়ে ছটপট করে মারা যাওয়া
পাখি। যেমনটি তখন তার কিছুই বলার থাকেনা । কারো কোনরূপ জবাবদিহিতা নেই। । এরপর চলে
খাবারের আয়োজন। মানবতা কতটুকু ধূসরিত হলে তা হতে পারে ? বিশ্ব বিবেক আপনারাই
চিন্তা করেন ।
মুখের ঠোট
চেপে তারা যেন বলতে চায় তোকে আমি যেমন ইচ্ছে সেভাবে মারব। তুই কোন প্রতিবাদ করবিনা
। বলুন তা কি সম্ভব ? এ জায়গায় আপনারা থাকলে কি করতেন ? নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রান
বাচাতে যা করা দরকার তাই করতেন। নাকি বলবেন ঠিক আছে আপনি আমার প্রভু আপনি যখন আমার
প্রাণ চাচ্ছেন তাহলে নিয়ে নিন আমার জীবন । আপনারা ঠিক যা করতেন ঠিক ওই কাজটি করতে
গিয়ে জঙ্গি ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রমের অযুহাতে প্রতিরোধের কথা বলে তারা
( বিশেষ করে তাদের দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ) সরসরি ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্র নিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে ।তাদের
শুধু অপরাধ মানুষের কাছে জননন্দিত সংগঠন হিসেবে পরিচিত পাওয়া। আজ মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীন । নিপীড়িত মানুষের জীবন আজ ধুকরে মরছে । নিজ বাসায়ও নিরাপদ ভাবে থাকতে পারছেনা । কখন
পুলিশ এসে গুলি করবে। কখন সরকার দলীয় লোকদের ধারালো অস্রে নিজের প্রান যায় সেই আশঙ্কায় প্রতিটি রাত
অতিবাহিত করছে । এ যেন গনতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী সরকার। আজ আমি এ প্রতিবেদন লিখছি । এ জন্য আমার জীবনের
নিরাপত্তা দিবে কে জানিনা । তবুও লিখতে বসলাম । পৃথিবীর মানবতাবাদি সংগঠন গুলোর
কাছে দেশের মানুষের নিরাপত্তা চাই সমাপ্ত
১৯৭১
সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল
"বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী''র নায়েবে আমীর দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় শত নাটকের পর পূর্ব নির্ধারিত ফাঁসির রায় ঘোষণা করলো বাংলাদেশ সরকার
গঠিত আদালত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল''। বিশিষ্ট জনদের মতে রাজনৈতিক
হিংসা প্রণোদিত হয়ে ও বিরোধী
জোটকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেবার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এ রায় এবং অনেক আগে থেকে তৈরি রায়ই
আদালতে শুধু পাঠ করে শুনানো হয় ।
এর আগে জামায়াতের আরেক নেতা আব্দুল কাদের কাদের মোল্লাকে
একই নাটকের অংশ হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া
হয় । আবার সরকার পরিবর্তনে তার মুক্তি পাবার আশঙ্কায় তাকে
ফাঁসিই দেবার উদ্দেশে সরকার আপিল করার আরেক নাটক করে । কিন্তু
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের আপিল করার সুযোগ সাংবিধানিক ভাবে না থাকায় প্রথমে বিপাকে পড়ে ।
দেশের মানুষ ধারনা করে নিয়েছিল সরকার তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে
সংসদে আপিল করার সুযোগ এনে আইন পাশ করে নিতে পারে । অবশেষে
সরকার তাই করে দেখালো । আপিল করার সুযোগ এনে সরকার দলীয় লোকদের একক
উপস্থিতিতে সংসদে আইন পাশ করে নেয়। এর
মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিকে পঙ্গু করার পথটি সুগম হল ।
জামায়াত
ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ উপর
থেকে বেছে বেছে শীর্ষ ৭ জন নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে গত ৪ বছর ধরে আটক করে রাখে সরকার । তাদের সবাইকে ফাঁসির মঞ্চে দাড় করানোর জন্য
সকল ধরনের পথ তৈরি করছে । এত কিছু হবার পরও জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে দাবী করা
হয়েছিল যে এ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য এবং বিদেশী কূটনীতিকদের ও
আইনজীবীদের উপস্থিতিতে
এ ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করার । কিন্তু এ দাবী গ্রহনের
পরবর্তীতে বিরোধী জোটকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা বিনষ্ট হবার আশঙ্কায় দলীয়
আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠন করে আন্তর্জাতিক মানহীন আদালত ''আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । আপনারাই বলুন এভাবে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কি
আন্তর্জাতিক মানের হতে পারে ? এটা কি বিরোধী জোট দমনের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু কি বলা
যায়?
দেশের সকল মিডিয়া গুলোকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে । সরকার বিরোধী নিউজ,
প্রতিবেদন বা টক-শো প্রকাশ করলেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে রুল জারি
করে এবং সাংবাদিকদের উপর চলে নারকীয় নির্যাতন । যেমন দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক
টেলিভিশন, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ ইত্তাদি। শুধুমাত্র তাদের পক্ষপাতদৃষ্ট মিডিয়া গুলোই
স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করে । তারা সরকারি দালাল হিসেবে জনগনের কাছে বিরোধী
জোটের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট জনভিতিকর
সংবাদ প্রচার করে । বিরোধী জোটের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
গুলোকেও বন্ধ করে দেবার জন্য সরকার উদগ্রীব । যেমন ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা
ইত্যাদি ।
এত ষড়যন্ত্রের পাশপাশি সরকার নতুন করে আরেক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তান সরকারের সাহায্যদাতা সংগঠন হিসেবে
অভিযুক্ত করে ‘’জামায়াত ইসলাম’’ কে নিষিদ্ধ করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । অথচ
এ অভিযোগের কোণ সত্যতা নেই । বরং এ
সংগঠনটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্যে ব্রত ছিল। সরকার একটি ভূল বিষয়টিকে
সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রচণ্ড উদগ্রীব ।
যদি তাদের কথাগুলোই সত্য হয় তাহলে ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের করেন না কেন? এখানেই সরকারের যুক্তির পরাজয় । অবশ্য এ
ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি হতে পারে যে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ
ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ীই করা হচ্ছে । এখনে আমার ২ টি প্রশ্ন
(১) দলীয় আইনজীবী ও বিচারপতি এবং তাদের তৈরি করা মনগড়া সাক্ষীসাবুদ নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল যতই আন্তর্জাতিক
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিয়ম নীতি অনুযায়ী হোক না কেন বাস্তবে তা কি আন্তর্জাতিক মানের হয় ?
(২) যে নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলছে তা কি আসলেই আন্তর্জাতিক মানের ?
এ ক্ষেত্রে সরকার বহি রাষ্ট্রে বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করছে ।
এদিকে জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও
কর্মী বাহিনীর উপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন । তাদের
রাজনৈতিক অধিকারটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে । তারা প্রতিবাদ করার জন্য শান্তিপূর্ণ মিছিলের মত
কর্মসূচীও করতে পারছেনা । মিছিল বা কোন
প্রতিবাদ কর্মসূচী নিলেই জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের উপর চালায় নির্বিচারে গুলি ও অকথ্য
নির্যাতন। অথচ এ সংগঠনটি সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । দেশের মানুষ আজ পর্যন্ত তা
দেখেনি। কিন্তু তাদেরকে দেখা মাত্র
অস্র মাথায় তাক করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারের পুলিশ বাহিনী ও দলীয়
ক্যাডারগণ । মনে হয় যেন বাংলাদেশের মানুষের জীবন আকাশে উড়ন্ত পাখির মত। শিকারির ধনুক
লাগা মাত্র মাটিতে পড়ে ছটপট করে মারা যাওয়া
পাখি। যেমনটি তখন তার কিছুই বলার থাকেনা । কারো কোনরূপ জবাবদিহিতা নেই। । এরপর চলে
খাবারের আয়োজন। মানবতা কতটুকু ধূসরিত হলে তা হতে পারে ? বিশ্ব বিবেক আপনারাই
চিন্তা করেন ।
মুখের ঠোট
চেপে তারা যেন বলতে চায় তোকে আমি যেমন ইচ্ছে সেভাবে মারব। তুই কোন প্রতিবাদ করবিনা
। বলুন তা কি সম্ভব ? এ জায়গায় আপনারা থাকলে কি করতেন ? নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রান
বাচাতে যা করা দরকার তাই করতেন। নাকি বলবেন ঠিক আছে আপনি আমার প্রভু আপনি যখন আমার
প্রাণ চাচ্ছেন তাহলে নিয়ে নিন আমার জীবন । আপনারা ঠিক যা করতেন ঠিক ওই কাজটি করতে
গিয়ে জঙ্গি ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রমের অযুহাতে প্রতিরোধের কথা বলে তারা
( বিশেষ করে তাদের দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ) সরসরি ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্র নিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে ।তাদের
শুধু অপরাধ মানুষের কাছে জননন্দিত সংগঠন হিসেবে পরিচিত পাওয়া। আজ মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীন । নিপীড়িত মানুষের জীবন আজ ধুকরে মরছে । নিজ বাসায়ও নিরাপদ ভাবে থাকতে পারছেনা । কখন
পুলিশ এসে গুলি করবে। কখন সরকার দলীয় লোকদের ধারালো অস্রে নিজের প্রান যায় সেই আশঙ্কায় প্রতিটি রাত
অতিবাহিত করছে । এ যেন গনতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী সরকার। আজ আমি এ প্রতিবেদন লিখছি । এ জন্য আমার জীবনের
নিরাপত্তা দিবে কে জানিনা । তবুও লিখতে বসলাম । পৃথিবীর মানবতাবাদি সংগঠন গুলোর
কাছে দেশের মানুষের নিরাপত্তা চাই সমাপ্ত
Friday, February 15, 2013
আওয়ামী লীগে থাকা ২৩ রাজাকারের তালিকা দিলাম-তাদের বিচার করবে কে?
৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে বিরোধীজোট বিএনপি ও জামায়াতরে এক ডজন নেতার বিচার করছে
আওয়ামী লীগ সরকার। তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নিরব। এ
...
দলটিতেও রয়েছে, কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগাকরীসহ অসংখ্য স্বাধীনতাবিরোধী। কিন্তু তারা রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় বক্তৃতায় বলেছেন, আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলে দেখিয়ে দেন-আমরা তাদের বিচার করব। আমাদের অনুসন্ধানে নিচে ২৩ আওয়ামী রাজাকারের তালিকা তুলে ধরা হলো।
আওয়ামী লীগের এই ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোন না কোনভাবে ৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। মক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে। ১৯৭১ সালে মক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন তারা।
নিচে আওয়ামী লীগের এসব যুদ্বাপরাধীর নাম ও তাদের কর্মকাণ্ডের কিছু তথ্য দেয়া হলো:
১. অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শাসম বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মজিবুর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার
পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে 'মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল' শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
২. লে.কর্ণেল (অব) ফারুক খান: পর্যটন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ধ” বই।
৩. ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
৪. অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও
শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত বছরের ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্ধাপরাধের তালিকায় (ক্রমিক নং-৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
৫. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপনেতা ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ মেম্বার অব ন্যাশনাল
এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে।
জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের
বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য উল্লেখ আছে।
৬. সৈয়দ জাফরউল্লাহ: আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। মাসিক “সহজকথা” আয়োজিত যুদ্ধাপরাধের বিচার:বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য
দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। “মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান ” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
৭. মুসা বিন শমসের: গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেউ
বলছেন না কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্দ্ধাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।
৮. মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা গোলাম আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদরদের গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে
নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধ ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম।
৯. এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬
ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘
মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব
পাকিস্তানে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। ৯ জানুয়ারি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাজাকার আশিকুর রহমান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে তার বিচার করবেন না তা হয় না। আমরা সব রাজাকারের বিচার চাই। মন্ত্রীসভায় রাজাকার রেখে রাজাকারের বিচার করা যায় না।
১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাদপুর-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন।
তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ সময় আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্ঠার মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তাকে চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তার বিচার দাবি করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
১১. মাওলানা নুরুল ইসলাম: জামালপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সরিষা বাড়ী এলাকার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশ্যপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” গ্রন্থের ৪৫ পৃষ্ঠায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এ ছাড়া গত ২৮ এগ্রিল দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১২. মজিবর রহামান হাওলাদার: কুটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায়
বসতবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায়ও যুদ্বাপরাধী হিসেব তার নাম আছে।
১৩. আবদুল বারেক হাওলাদার: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের পিতা আবদুল বারেক হাওলাদার ৭১ এ দালাল
ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪১ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার নাম আছে। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।
১৪. আজিজুল হক: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গোপালগঞ্জের
কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানেও তার নাম রয়েছে।
১৫. মালেক দাড়িয়া: আওয়ামী লীগ নেতা ও গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি ছিলেন আল বদরের একনিষ্ঠ সহযোগী। গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট।
১৬. মোহন মিয়া: গোপালগঞ্জ কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমির হোসেনের পিতা মোহন মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার
ছিলেন। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ছিল ১৫৭ নম্বরে।
১৭. মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া: উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন। যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ
করতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের গোপন খবর পাকবাহিনীকে পৌঁছে দিতেন।
১৮. রেজাউল হাওলাদারঃ কোটালিপাড়া পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদের নাম ২০৩ জন রাজাকার, আল বদর, আলশামসসহ গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি আল বদর সদস্য হিসেব স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
১৯. বাহাদুর হাজরাঃ কোটালিপাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর হাজরার নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন।
২০. আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারঃ গোপালগঞ্জের এ পি পি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানীদের দোসর ও আল বদর বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। আল বদর বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করতেন তিনি।
২১. হাসেম সরদার: অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের পিতা হাসেম সরদারের নাম কোটালীপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন রাজাকার ছিলেন। ৭১ সালে তার নেতৃত্বে অনেক সাধারণ বাঙালির বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল।
২২. আবদুল কাইয়ুম মুন্সি: জামালপুর বকশিগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি অবুল কালাম আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা ও মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল জামালপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালিচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী এ মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বকশিগঞ্জে আল বদর বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর
সাথে থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেন।
২৩. নুরুল ইসলাম-নুরু মিয়া: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুরুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তারা মন্ত্রী ও তার ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, তার বাবা নূরু মিয়া মু্ক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকর ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় এ খবরটি প্রকাশিত হয়। নুরু মিয়ার অপকর্মের বিষয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির
অবস্থান’ বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে। জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন প্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের ২৭ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেউ ছিলেন (এম এন এ) জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এম
পি এ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মুক্তিযুদ্ধে তারা হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দেশের মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ নানা ধনের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথেও তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবনগরের সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্ধাপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ সব নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এবার দেখা যাক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গাহীন-চেতনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত আমাদের বাআল সরকার কি ব্যবস্থা নেয়! নিশ্চয়ই নিজের ঘর আওয়ামী লীগকে রাজাকার মুক্ত করতে বাআলের মধ্যে থাকা রাজাকারগুলোর বিচার করবে তারা। তো আর দেরি কেন-প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই মোশাররফকে দিয়েই শুরু হোক...
হারুনর রশিদ কায়সার
ব্লগার ইমরানকে লম্পট বলবেন না রাজাকারের ছেলে বলবেন?
আল্লাহ ও রাসূল(স:) এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারী ব্লগারদের নেতা ইমরান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কুড়িগ্রামের রাজাকার পরিবারের নব্য মুক্তিযোদ্ধা। রাজীবপুরের বালিয়ামারী গ্রামে তার বাবা আঃ মতিন সরকার (হাতেম)।
দাদা হাজী খয়েরউদ্দীন ছিলেন স্থানীয় পিছ কমিটির নেতা। এই জন্য তাকে ভারতীয় সৈন্যরা গুলী করে হত্যা করে বলে তথ্য রয়েছে। —
দাদা হাজী খয়েরউদ্দীন ছিলেন স্থানীয় পিছ কমিটির নেতা। এই জন্য তাকে ভারতীয় সৈন্যরা গুলী করে হত্যা করে বলে তথ্য রয়েছে। —

এই যদি হয় একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী তাহলে লাত্থি মারি এই রাজনীতির
সবার আগে এই ইউটিউব লিংক এর ভিডিও ক্লিপ টি দেখুন :http://www.youtube.com/ watch?v=vT7uofgCDzw
যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল শেখ হাসিনার সব গোমর ফাক করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা আবদুল জলিল ও মিন্টুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ডের আলটিমেটামের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের পরিকল্পনা ও টাকার বিনিময়ে বিএনপি’র ৭০ এমপিকে দিয়ে দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘটানোসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য। এ ছাড়াও তারা অকপটে স্বীকার করেছেন, পার্টির ফান্ডের নামে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজি ও শেখ হাসিনা কর্তৃক অনৈতিকভাবে ফান্ডের টাকা আত্মসাতের কথা।
আবদুল জলিল বলেছেন, দলের নেতৃস্খানীয়রা শেখ হাসিনার কাছে আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চাইলেও তাদের না জানানোর অস্বচ্ছ নীতির কথা। পার্টি ফান্ডের নামে ওঠানো টাকার পুরোটাই তদারকি করতেন শেখ হাসিনা। আবদুল জলিল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আকস্মিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়ে তাকে দলের ভবিষ্যৎ উত্তসূরি বানানোর মাধ্যমে পরিবারতন্ত্র কায়েমের পরিকল্পনা করেছিলেন। তার মতে, জয়কে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে উচ্চাভিলাষী করে তোলেন হাসিনা নিজেই। জয় আমেরিকায় একটি কম্পিউটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দেশে এনে তাকে রাজনীতিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জয়ের এই রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়টিকে ভালোভাবে যে নেননি তা ফুটে উঠেছে জলিলের বক্তব্য থেকে। তা ছাড়াও জলিল বলতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনার সহযোগিতা পেয়েই জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার থেকে আমেরিকায় অনেক বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।
তা ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীর ভূমিকা নিয়েও দলের নেতাদের মাঝে যে চাপা ক্ষোভ ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে জলিলের বক্তব্যে। বিশেষ করে বিগত ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ড ইস্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা শুধু সাবের হোসেন চৌধুরী ও প্রশিকার কাজী ফারুক আহমেদের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে তা নিয়েও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর ফলে ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই নিস্ত্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। মূলত সে কারণেই এই ট্রাম্পকার্ড ব্যর্থ হয়েছিল বলে জলিলের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।
আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক এফবিসিআই’র সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুও তা স্বীকার করেন। যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শেখ হাসিনা নিয়মিত চাঁদা নিতেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক এফবিসিসিআই’র সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এপেক্স গ্রুপের কর্ণধার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুর এলাহী, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপ, লোটাস কামাল প্রমুখ। ব্যবসায়ীরা সরাসরি শেখ হাসিনার হাতে চাঁদার টাকা দিতেন। এর কারণ হিসেবে জলিল বলেন, তারা নেত্রীর কাছে পরিচিত থাকতে চান এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেদের উপস্খাপন করতে চাইতেন। যাতে ভবিষ্যতে যদি দল ক্ষমতায় আসে তাহলে যেকোনো সুযোগ-সুবিধা নেত্রীই দিতে পারেন। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনের আগে কেউ ১ কোটি, কেউ ২ কোটি এবং স্বাভাবিক সময় ২০-২৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতেন। আবদুল জলিল আরো বলেছেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা শেখ হাসিনা কিভাবে খরচ করতেন তা দলের অন্য কেউ জানতেন না। শেখ হাসিনার বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে জলিল বলেছেন, মানুষ প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে পারে। ৩০ এপ্রিলকে সামনে রেখে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর কৌশলও নেয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে বিএনপি’র বিদ্রোহী এমপি আবু হেনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শেখ হাসিনা।
ট্রাম্পকার্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু গোয়েন্দাদের বলেছেন, পুরো বিষয়টির পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার। মুখপাত্র ছিলেন আবদুল জলিল। আবু হেনা তৎকালীন সরকারি দল থেকে ৩৬ জন এমপি এবং এলডিপি নেতা মাহি বি. চৌধুরী ২৫-৩০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মিন্টু বলেছেন, ৭০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার জন্য প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। এজন্য আবু হেনা তার কাছেও ১ কোটি টাকা চাঁদা চাইলে তিনি টাকা দিতে রাজি হন এবং আবদুল জলিলের সাথে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে জলিল মিন্টুকে আবু হেনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও সরকার পতনের আন্দোলনে একযোগে কাজ করার কথা বলেন। মিন্টু আরো বলেন, এই নীলনকশা বাস্তবায়নে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সালমান এফ রহমান, সিকদার মেডিক্যালের জেড এইচ সিকদার টাকা দেবেন বলে তাকে জানানো হয়। বিএনপি থেকে চলে আসা এই এমপিদের নিয়ে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের পরিকল্পনা ছিল বলে আবু হেনা তাকে জানান।
এ ছাড়া ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য এক নৈরাজ্যকর পরিস্খিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিকা ১০ লাখ লোক সমাগম করবে বলেও আবু হেনা তাকে জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানান, এমপি ভাগিয়ে আনার পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেছেন শেখ হাসিনা নিজে। টাকা বন্টন নিয়ে তিনি মিন্টুর সাথে বৈঠক করতেন বলেও জানান জলিল। জলিল বলেন, এ ব্যাপারে আমাকেও কিছু জানানো হয়নি। আর প্রশিকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এদিকে ওয়ার্ড কমিশনার ও গুলশান আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল উদ্দিন তার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালক সায়েম সোবাহান আনভীর ও তিনি বিগত ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে আবদুল জলিলকে চাঁদা দিয়েছেন। তারা জলিলের বাসায় গিয়ে এই চাঁদার টাকা দিয়ে আসতেন। আবদুল জলিল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালকের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে তার কাছ থেকে টাকার চেক গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও প্রতি মাসে চাঁদা নেয়ার কথাটি অস্বীকার করেন।
...................
হাসেনা আপনি লাইনে আসবেন না? আপনার বাপও চলে আসবে। গত ৪ বছরে পাপে কানায় কানায় পূর্ন হয়েছে। সকল অপকর্মের ফিরিস্তিও তৈরী আছে।
ইউটিউব লিংক:http://www.youtube.com/ watch?v=vT7uofgCDzw
— with Ayub Ali.যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল শেখ হাসিনার সব গোমর ফাক করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা আবদুল জলিল ও মিন্টুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ডের আলটিমেটামের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের পরিকল্পনা ও টাকার বিনিময়ে বিএনপি’র ৭০ এমপিকে দিয়ে দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘটানোসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য। এ ছাড়াও তারা অকপটে স্বীকার করেছেন, পার্টির ফান্ডের নামে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজি ও শেখ হাসিনা কর্তৃক অনৈতিকভাবে ফান্ডের টাকা আত্মসাতের কথা।
আবদুল জলিল বলেছেন, দলের নেতৃস্খানীয়রা শেখ হাসিনার কাছে আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চাইলেও তাদের না জানানোর অস্বচ্ছ নীতির কথা। পার্টি ফান্ডের নামে ওঠানো টাকার পুরোটাই তদারকি করতেন শেখ হাসিনা। আবদুল জলিল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আকস্মিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়ে তাকে দলের ভবিষ্যৎ উত্তসূরি বানানোর মাধ্যমে পরিবারতন্ত্র কায়েমের পরিকল্পনা করেছিলেন। তার মতে, জয়কে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে উচ্চাভিলাষী করে তোলেন হাসিনা নিজেই। জয় আমেরিকায় একটি কম্পিউটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দেশে এনে তাকে রাজনীতিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জয়ের এই রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়টিকে ভালোভাবে যে নেননি তা ফুটে উঠেছে জলিলের বক্তব্য থেকে। তা ছাড়াও জলিল বলতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনার সহযোগিতা পেয়েই জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার থেকে আমেরিকায় অনেক বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।
তা ছাড়াও সাবের হোসেন চৌধুরীর ভূমিকা নিয়েও দলের নেতাদের মাঝে যে চাপা ক্ষোভ ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে জলিলের বক্তব্যে। বিশেষ করে বিগত ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ড ইস্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা শুধু সাবের হোসেন চৌধুরী ও প্রশিকার কাজী ফারুক আহমেদের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে তা নিয়েও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর ফলে ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই নিস্ত্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। মূলত সে কারণেই এই ট্রাম্পকার্ড ব্যর্থ হয়েছিল বলে জলিলের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।
আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক এফবিসিআই’র সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুও তা স্বীকার করেন। যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শেখ হাসিনা নিয়মিত চাঁদা নিতেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক এফবিসিসিআই’র সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এপেক্স গ্রুপের কর্ণধার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুর এলাহী, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপ, লোটাস কামাল প্রমুখ। ব্যবসায়ীরা সরাসরি শেখ হাসিনার হাতে চাঁদার টাকা দিতেন। এর কারণ হিসেবে জলিল বলেন, তারা নেত্রীর কাছে পরিচিত থাকতে চান এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেদের উপস্খাপন করতে চাইতেন। যাতে ভবিষ্যতে যদি দল ক্ষমতায় আসে তাহলে যেকোনো সুযোগ-সুবিধা নেত্রীই দিতে পারেন। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনের আগে কেউ ১ কোটি, কেউ ২ কোটি এবং স্বাভাবিক সময় ২০-২৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতেন। আবদুল জলিল আরো বলেছেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা শেখ হাসিনা কিভাবে খরচ করতেন তা দলের অন্য কেউ জানতেন না। শেখ হাসিনার বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে জলিল বলেছেন, মানুষ প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে পারে। ৩০ এপ্রিলকে সামনে রেখে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর কৌশলও নেয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে বিএনপি’র বিদ্রোহী এমপি আবু হেনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শেখ হাসিনা।
ট্রাম্পকার্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু গোয়েন্দাদের বলেছেন, পুরো বিষয়টির পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার। মুখপাত্র ছিলেন আবদুল জলিল। আবু হেনা তৎকালীন সরকারি দল থেকে ৩৬ জন এমপি এবং এলডিপি নেতা মাহি বি. চৌধুরী ২৫-৩০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মিন্টু বলেছেন, ৭০ জন এমপিকে ভাগিয়ে আনার জন্য প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। এজন্য আবু হেনা তার কাছেও ১ কোটি টাকা চাঁদা চাইলে তিনি টাকা দিতে রাজি হন এবং আবদুল জলিলের সাথে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে জলিল মিন্টুকে আবু হেনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও সরকার পতনের আন্দোলনে একযোগে কাজ করার কথা বলেন। মিন্টু আরো বলেন, এই নীলনকশা বাস্তবায়নে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, সালমান এফ রহমান, সিকদার মেডিক্যালের জেড এইচ সিকদার টাকা দেবেন বলে তাকে জানানো হয়। বিএনপি থেকে চলে আসা এই এমপিদের নিয়ে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের পরিকল্পনা ছিল বলে আবু হেনা তাকে জানান।
এ ছাড়া ৩০ এপ্রিলের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য এক নৈরাজ্যকর পরিস্খিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিকা ১০ লাখ লোক সমাগম করবে বলেও আবু হেনা তাকে জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল জলিল গোয়েন্দাদের জানান, এমপি ভাগিয়ে আনার পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেছেন শেখ হাসিনা নিজে। টাকা বন্টন নিয়ে তিনি মিন্টুর সাথে বৈঠক করতেন বলেও জানান জলিল। জলিল বলেন, এ ব্যাপারে আমাকেও কিছু জানানো হয়নি। আর প্রশিকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এদিকে ওয়ার্ড কমিশনার ও গুলশান আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল উদ্দিন তার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালক সায়েম সোবাহান আনভীর ও তিনি বিগত ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে আবদুল জলিলকে চাঁদা দিয়েছেন। তারা জলিলের বাসায় গিয়ে এই চাঁদার টাকা দিয়ে আসতেন। আবদুল জলিল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্খাপনা পরিচালকের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে তার কাছ থেকে টাকার চেক গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও প্রতি মাসে চাঁদা নেয়ার কথাটি অস্বীকার করেন।
...................
হাসেনা আপনি লাইনে আসবেন না? আপনার বাপও চলে আসবে। গত ৪ বছরে পাপে কানায় কানায় পূর্ন হয়েছে। সকল অপকর্মের ফিরিস্তিও তৈরী আছে।
ইউটিউব লিংক:http://www.youtube.com/
Thursday, February 14, 2013
বিচারপতি মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করল সরকার
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত 'সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক' সংবাদ কপি করে বিতরণের দায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। একই দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ আইনজীবীরাও। সচেতন মানুষও সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারকের এহেন কাজে স্তম্ভিত।
সংসদে মহাজোটের সাংসদরা বলেছেন, বিচারপতির মতো পদে থেকে তিনি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন কর্মকাণ্ড অনৈতিক ও নিন্দনীয়। সংসদ সদস্যদের এমন ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এ ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। এর আগে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেন, এই যদি
বিচারপতির অবস্থা হয়, তাহলে দেশের মানুষ যাবে কোথায়। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্পিকার বলেন, এর একটা সুরাহা বা সমাধান হওয়া উচিত। অন্যতায় তিনি রুলিং দেবেন।
রাজীব হত্যার পর তার ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ব্লগে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়, যা কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞা আদালতের কাগজ, প্রিন্টার ও খাম ব্যবহার করে প্রধান বিচারপতিসহ শতাধিক বিচারপতির কাছে পাঠান। এ সংবাদ গতকাল সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকেলে অধিবেশন শুরুর পর পরই জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে সমকালসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বিচারপতির এমন গুরুতর আপত্তিজনক কাজের প্রতি সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সমকালে প্রকাশিত এই সংবাদটি পুরোপুরি সংসদকে পাঠ করে শোনান। একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সরকারি দলের প্রধান হুইপ আবদুস শহীদ, আবদুল মান্নান ও অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বক্তব্য রাখেন। তারা সবাই বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞার কঠোর সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে হবে। অন্যথায় দেশের বিচার বিভাগকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিচারপতি তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন না থেকে রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। জামায়াতের পক্ষ নিয়ে তিনি ব্লগার রাজীবকে মুরতাদ বলেছেন। তিনি বলেন, রাজীব হত্যায় ওই বিচারপতি জড়িত কি-না জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। রাজীবের মৃত্যুর পর তার আইডি হ্যাক করে মারাত্মক সব অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই বিচারপতি তাদের হয়ে কাজ করেছেন। শাহবাগের আন্দোলনকে নস্যাৎ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বিচারপতি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাকে অপসারণ করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য তিনি আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
আবদুস শহীদ বলেন, বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞা ধৃষ্টতাপূর্ণ কাজ করেছেন। আজ সংসদে যে দাবি উঠেছে, সংসদীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াও সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, এ ঘটনা বিচার বিভাগের জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। একজনের কুকর্মের জন্য বিচার বিভাগ নষ্ট হতে পারে না।
আবদুল মান্নান বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত ও নৃশংসভাবে খুন হওয়া একজন যুবকের বিরুদ্ধে মহানবীকে (সা.) জড়িয়ে কুৎসিত মন্তব্য করা হয়েছে। এতে দেশের সাধারণ সরলপ্রাণ মুসলমানের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই বিচারপতি রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন। নিজের চেয়ারকে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছেন। তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংগ্রামসহ কয়েকটি জামায়াত সমর্থিত পত্রিকায় রাজীবকে জড়িয়ে মহানবীর (সা.) বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর এই বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। একজন কর্তব্যরত বিচারপতি এ প্রচারণার কাজে যুক্ত হয়ে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানের মতো বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নেওয়ারও দাবি করেন।
আইনমন্ত্রীর আশ্বাস : সাংসদদের দাবি প্রসঙ্গে সংসদে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, রাজীবকে বিতর্কিত করতে ইনকিলাব ও আমার দেশসহ কয়েকটি পত্রিকায় এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই পত্রিকাগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে আমরা জানি। তারা নিজেরাও তৈরি খবর প্রকাশ করতে পারে। রাজীব এমন কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, একজন বিচারপতি হয়ে তিনি যে কাজ করেছেন, তা জঘন্য ও নিন্দনীয়। তিনি অসদাচরণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতানুযায়ী তিনি প্রধান বিচারপতিকে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে বলতে পারেন। আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি বিষয়টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
আইনজীবীদের ক্ষোভ : এদিকে গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে আয়োজিত এক জরুরি সাধারণ সভায়ও বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি কেএম সাইফুদ্দিন আহম্মেদ। বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, এএফএম মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক, সমিতির সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, সমিতির সাবেক সহসম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুব প্রমূখ।
সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলে তিনি আর কোনো দলের থাকেন না। যারা পদে আসীন হয়ে দলের প্রতি আনুগত্য দেখান, তাদের বিচারপতি পদে থাকার অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে পদ ছেড়ে দিলে বিচার বিভাগ বাঁচবে।
এএফএম মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তার আর ওই পদে থাকার যোগ্যতা নেই। অভিযুক্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের পর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবীদের তার কোর্ট বর্জন করতে হবে।
অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ওই বিচারক স্বাধীন বিচার বিভাগকে কলুষিত করার জন্য জঘন্য কাজ করেছেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান বিচারপতি ওই বিচারপতিকে (মিজানুর রহমান ভুঞা) সোমবার রাতেই তলব করেছিলেন। পরে তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার।
মো. মিজানুর রহমান ভুঞা ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই তিনি বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন। —
সংসদে মহাজোটের সাংসদরা বলেছেন, বিচারপতির মতো পদে থেকে তিনি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন কর্মকাণ্ড অনৈতিক ও নিন্দনীয়। সংসদ সদস্যদের এমন ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এ ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। এর আগে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেন, এই যদি
বিচারপতির অবস্থা হয়, তাহলে দেশের মানুষ যাবে কোথায়। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্পিকার বলেন, এর একটা সুরাহা বা সমাধান হওয়া উচিত। অন্যতায় তিনি রুলিং দেবেন।
রাজীব হত্যার পর তার ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ব্লগে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়, যা কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞা আদালতের কাগজ, প্রিন্টার ও খাম ব্যবহার করে প্রধান বিচারপতিসহ শতাধিক বিচারপতির কাছে পাঠান। এ সংবাদ গতকাল সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকেলে অধিবেশন শুরুর পর পরই জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে সমকালসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বিচারপতির এমন গুরুতর আপত্তিজনক কাজের প্রতি সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সমকালে প্রকাশিত এই সংবাদটি পুরোপুরি সংসদকে পাঠ করে শোনান। একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সরকারি দলের প্রধান হুইপ আবদুস শহীদ, আবদুল মান্নান ও অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বক্তব্য রাখেন। তারা সবাই বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞার কঠোর সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে হবে। অন্যথায় দেশের বিচার বিভাগকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিচারপতি তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন না থেকে রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। জামায়াতের পক্ষ নিয়ে তিনি ব্লগার রাজীবকে মুরতাদ বলেছেন। তিনি বলেন, রাজীব হত্যায় ওই বিচারপতি জড়িত কি-না জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। রাজীবের মৃত্যুর পর তার আইডি হ্যাক করে মারাত্মক সব অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই বিচারপতি তাদের হয়ে কাজ করেছেন। শাহবাগের আন্দোলনকে নস্যাৎ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বিচারপতি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাকে অপসারণ করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য তিনি আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
আবদুস শহীদ বলেন, বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞা ধৃষ্টতাপূর্ণ কাজ করেছেন। আজ সংসদে যে দাবি উঠেছে, সংসদীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াও সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, এ ঘটনা বিচার বিভাগের জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। একজনের কুকর্মের জন্য বিচার বিভাগ নষ্ট হতে পারে না।
আবদুল মান্নান বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত ও নৃশংসভাবে খুন হওয়া একজন যুবকের বিরুদ্ধে মহানবীকে (সা.) জড়িয়ে কুৎসিত মন্তব্য করা হয়েছে। এতে দেশের সাধারণ সরলপ্রাণ মুসলমানের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই বিচারপতি রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন। নিজের চেয়ারকে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছেন। তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংগ্রামসহ কয়েকটি জামায়াত সমর্থিত পত্রিকায় রাজীবকে জড়িয়ে মহানবীর (সা.) বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর এই বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। একজন কর্তব্যরত বিচারপতি এ প্রচারণার কাজে যুক্ত হয়ে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানের মতো বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নেওয়ারও দাবি করেন।
আইনমন্ত্রীর আশ্বাস : সাংসদদের দাবি প্রসঙ্গে সংসদে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, রাজীবকে বিতর্কিত করতে ইনকিলাব ও আমার দেশসহ কয়েকটি পত্রিকায় এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই পত্রিকাগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে আমরা জানি। তারা নিজেরাও তৈরি খবর প্রকাশ করতে পারে। রাজীব এমন কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, একজন বিচারপতি হয়ে তিনি যে কাজ করেছেন, তা জঘন্য ও নিন্দনীয়। তিনি অসদাচরণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতানুযায়ী তিনি প্রধান বিচারপতিকে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে বলতে পারেন। আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি বিষয়টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
আইনজীবীদের ক্ষোভ : এদিকে গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে আয়োজিত এক জরুরি সাধারণ সভায়ও বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি কেএম সাইফুদ্দিন আহম্মেদ। বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, এএফএম মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক, সমিতির সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, সমিতির সাবেক সহসম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুব প্রমূখ।
সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলে তিনি আর কোনো দলের থাকেন না। যারা পদে আসীন হয়ে দলের প্রতি আনুগত্য দেখান, তাদের বিচারপতি পদে থাকার অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে পদ ছেড়ে দিলে বিচার বিভাগ বাঁচবে।
এএফএম মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তার আর ওই পদে থাকার যোগ্যতা নেই। অভিযুক্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের পর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবীদের তার কোর্ট বর্জন করতে হবে।
অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ওই বিচারক স্বাধীন বিচার বিভাগকে কলুষিত করার জন্য জঘন্য কাজ করেছেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান বিচারপতি ওই বিচারপতিকে (মিজানুর রহমান ভুঞা) সোমবার রাতেই তলব করেছিলেন। পরে তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার।
মো. মিজানুর রহমান ভুঞা ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই তিনি বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন। —
সামহোয়ারইন ব্লগের ইসলাম বিদ্বেষী কাণ্ড দেখুন
আমাদের কি চোখ নাই ?
মধুসুদনঃ যুদ্ধের সময় জামায়াত অলারাই আমাগোরে রক্ষা করছে,**
গনেশ চন্দ্র শাহাঃ আমার মারে সাইদি সাহেব মারেনা। আমি তারে দেহিও নাই**
উশা রানিঃ না না না আইজ বাদে কাইল মরুম। মিছা কতা কইত পারুম না**।
Wednesday, February 13, 2013
Tuesday, February 12, 2013
মিথ্যাবাদী ভন্ডের মুখোশ খুলে দিন, শেয়ার করুন
শেখ হাছিনা, ভোটের আগে বলেন ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন আর ভোটে জয়ী হওয়ার পরে বলেন একথা বলেননি, বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকুরি দিবেন আর ঘরে ঘরে আজ বেকার যুবক। মিথ্যাবাদী ভন্ডের মুখোশ খুলে দিন, শেয়ার করুন।
শাহবাগে তোফায়েলকে বক্তৃতায় বাধা দেয়ায় লাকীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
শাহবাগে তোফায়েলকে বক্তৃতায় বাধা দেয়ায় লাকীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। আওয়ামিলীগ সরকার যেখানে যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসী দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমান প্রমানাদি আদালতে উপস্থাপনে ব্যার্থ সেখানে আওয়ামিলীগের মন্ত্রী, এমপিরা শাহবাগে আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ এক চরম মাত্রার ভন্ডামী যা লাকী আক্তার বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলো ছাত্রলীগ দ্বারা।
শেয়ার করুন, প্রতিবাদ করুন
আর কতো অবহেলা করা হবে আমাদের, বাংলাদেশি হয়ে জন্মে নিশ্চই পাপ করিনি আমরা - অবশ্যই ভারতীয় সেই ছাত্রীর ধর্ষকদের বিচার আমরাও চাই, কিন্তু আমাদের দেশে আমাদের বোনদের যেসব পরিমলরা ধর্ষন করে চলছে প্রতিনিয়ত তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা দেখতে চাই, শাস্তি দেখতে চাই মানিকদের। গর্জে উঠতে হবে এবার সবাইকে। শেয়ার করুন, প্রতিবাদ করুন।
শিবিরের মিছিলে পুলিশের সাথে কারা গুলি চালাচ্ছে?
শিবিরের মিছিলে পুলিশের সাথে কারা গুলি চালাচ্ছে? রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মতিঝিলে আজ দুপুর দেড়টার দিকে শিবির কর্মীরা আকস্মিক মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং গুলি ছোঁড়ে। এতে শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়।সেসময় পুলিশের সাথে সাদা পোশাকধারী আরো কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে দেখা যায়। এক্সক্লুসিভ সব নিউজ আপডেট পেতে পেজটা লাইক দিতে ভুইলেন না .
আওয়ামিলীগের মধ্যে থাকা রাজাকারদের বিচার প্রথমে শুরু হলে, এই দেশের মাটিতে একজন রাজাকারেরও জায়গা হত না।
আওয়ামিলীগের মধ্যে থাকা রাজাকারদের বিচার প্রথমে শুরু হলে, এই দেশের মাটিতে একজন রাজাকারেরও জায়গা হত না। অথচ সুযোগ থাকা সত্তেও আওয়ামিলীগের মধ্যে থাকা রাজাকারদের বাঁচিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করার এই তো সময়, প্রতিবাদ করুন, এই রাজাকারের বিচার দাবী করুন, শেয়ার করুন।
মিডিয়া শাহবাগে...তাই আলোচনায় নেই সাগর-রুনির প্রথম হত্যাবার্ষীকী...
মিডিয়া শাহবাগে...তাই আলোচনায় নেই সাগর-রুনির প্রথম হত্যাবার্ষীকী... আজ সোমবার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তি।এক বছর আগে এইদিনে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হয়েছিলেন নিজেদের শয়নকক্ষে। এ নিয়ে আজকে কোন টিভিতে দেখলামুনা কোন অনুষ্ঠান। সম্ভবত সবাই শাহবাগ নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় এ বিষয়ে নজর দিতে ভুলে গেছে! গত এক বছরে মামলার সমাধান তো দূরের কথা খুনের ক্লু পর্যন্ত নির্ণয় করতে পারে নি দেশের কোনো আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাগর-রুনি খুনের বিচার প্রসঙ্গে সাগরের মা সালেহা মনির সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন ২৪ ঘন্টা-৪৮ ঘণ্টা, সাল, বছর না কত যুগ লাগবে
টাঙ্গাইলে কম্পিউটার সেন্টারে আ’লীগের দেয়া আগুনে পুড়ে মারা গেল একজন
টাঙ্গাইল শহরের একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আগুনে পুরো কেন্দ্রটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দমকল বাহিনীর ওপরও হামলা চালায় এবং তাদের দু’টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম কসমস কম্পিউটার সিস্টেম। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত কেন্দ্রটির কোড নম্বর-৫৪০৬৭। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শওকত হোসেন ইমরান জামায়াতে ইসলামীর একজন সমর্থক বলে জানা গেছে। তিনি মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত খোদা-ই-খেদমতগারের জেলা কমিটির সেক্রেটারি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মেইন রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে পতাকা মিছিল বের করেন। নিরালা মোড় ঘুরে তারা ভিক্টোরিয়া রোডের ইয়াসিন সুপার মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত কসমস কম্পিউটার সিস্টেমে ঊঠে কয়েকজন মিছিলকারী পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ছয়টি কক্ষের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে দেখি লাঠিসোটা ও পতাকা হাতে বেশ কিছু লোক মিছিল করছে। আমরা আগুন নেভাতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালান এবং দু’টি গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলেন। লাঠির আঘাতে আমাদের তিনজন আহত হন। পরে পুলিশ আসার পর আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ৩৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেখান থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় আটজনকে।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আমাদের বাধা দেয়া না হলে হয়তো লোকটি মারা যেত না আর এত ক্ষতিও হতো না।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আরএমও রফিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তারা হলেন শুভ হাসান, মোহাম্মদ শুভ, শহীদ সিদ্দিক, বাবু, রবিন হোসেন, রবিন মিয়া, সবুজ ও মাহবুব। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথম চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সবার বাড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
কসমস কম্পিউটার সিস্টেমের পরিচালক শওকত হোসেন ইমরান বলেন, আমি বাড়ি থেকে আগুন লাগানোর খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে দেরি করেন। আমি এসে দেখি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে লাঠিসোটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমাকে ধাওয়া করলে আমি নিরাপদ স্থানে চলে যাই। পরিচালক বলেন, হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ভাঙচুর করে আগুন দেয় বলে একজন শিক্ষার্থী জানিয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, কিভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভেতর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত আটজনকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ব্রিটেন কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়ঃ ওয়ার্সই

বৃটেন কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত বৃটিশ পররাষ্ট্র ও কনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ব্যারনেস সাইদা ওয়ার্সি।
মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে তার দফতরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্সি বলেন, “নিষিদ্ধ করে নয়, জামায়াত-শিবিরকে আদর্শিক ও রাজনেতিকভাবেই মোকাবেলা করা উচিত।”
তিনি বলেন, “আমরা ডেমোক্রেট। তাই ‘ব্যান’ (নিষিদ্ধ) করার পক্ষে নই।”
দীপু মনির সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “শাহবাগের আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আগামী নির্বাচন, মানবাধিকার, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”
আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার জন্য সব দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন এ বৃটিশ মন্ত্রী।
ব্যারনেস ওয়ার্সি তিনদিনের সফরে সোমবার বাংলাদেশে এসেছেন। সফরকালে ওয়ার্সি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বৃটেনের অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি সফরে এসেছেন। তার সিলেট সফরের কর্মসূচিও রয়েছে।
বুধবার ঢাকা ছাড়ার আগে বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মিলিত হবেন বলেও বৃটিশ দূতাবাসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।